বৃহস্পতিবার, ০৫ Jun ২০২৫, ১২:০৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত ৩১ মার্চ’২৫ সোমবার ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার নামা মহিষতারা এলাকায় এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সরেজমিন তদন্ত ও স্থানীয় থানা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় জনৈক দুলাল মিয়া (২৮), পিতাঃ মোঃ মনু মিয়া নিকট প্রতিবেশী দিন মজুর মোঃ মোকসেদ মন্ডলের নাবালিকা মেয়ে স্থানীয় এতিমখানা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মোছাঃ মীম আক্তার (১০) কে ফুসলিয়ে নিয়ে ১নং বিবাদী ধর্ষক দুলাল মিয়ার বসত বাড়িতে ধর্ষণ করে মুমূর্ষু অবস্থায় ভিকটিমের বাড়ির কাছে ফেলে রেখে যায়। ভিকটিম এর বড় ভাই মোঃ গোলাম মোস্তফা (৩০) এর মুক্তাগাছা থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায় ধর্ষিতা মীম আক্তার এর ইচ্ছার বিরুদ্ধে উপর্যুপরি ধর্ষণ পরবর্তী লালসার শিকার মীম নিকটস্থ বড় ভগ্নীপতি মোঃ আব্দুর রহমান এর বাড়িতে বিধ্বস্ত পাওয়া যায়। ঘটনা পরবর্তী অভিযোগে দায়েরকৃত সাক্ষীগণকে বিষয়টি জানালে ধর্ষক দুলালকে আটক করলেও স্থানীয় প্রভাবশালী ও আধিপত্য বিস্তারকারী অভিযোগে দায়েরকৃত আসামি মোঃ আতিবর (৫০), মোঃ রমজান আলী (৪৬), মোঃ হাছেন আলী হাছে (৬০), মোঃ আব্দুল মজিদ (৪০), মোঃ ইউসুফ আলী (৫০), সর্বপিতা দুলাইনা কৌশলে দুলালকে আমজনতার কাছ থেকে ছাড়িয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। উত্তেজিত জনতা বিষয়টি আন্দাজ করতে পারলে গত ১ এপ্রিল’২৫ মঙ্গলবার আসামী মোঃ আব্দুল মজিদ এর বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির ক্রমাবনতি হলে রেঞ্জ ডিআইজি, ময়মনসিংহ ও পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ এর নির্দেশে ও অফিসার ইনচার্জ মুক্তাগাছা থানা এর নেতৃত্বে ওসি তদন্ত রিপন কুমার গোপ ও সঙ্গীয় ফোর্সের সমন্বয়ে চিরুনি অভিযান ও তথ্য প্রযুক্তি তথা ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে আজ ১২.৪৫ ঘটিকায় মুক্তাগাছা থানাধীন ঘোগা ইউপির খাইরা পার গ্রামে বোন শুকরি বেগমের বাড়ি থেকে ১নং আসামী ধর্ষক দুলালকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি (তদন্ত) বলেন, দুলাল মিয়ার শ্বশুর বাড়ি দাওগাও ইউপির পোড়াবাড়ি গ্রামে এবং তার বোনসহ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত স্থান হতে দুলালকক গ্রেফতার করি। উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত দুলাল ও মজিদকে অধিকতর তথ্য সংগ্রহের নিমিত্তে জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহকে সোপর্দ করা হয়। এদিকে উত্তেজিত স্থানীয় জনতা ধর্ষকসহ অভিযোগে দায়েরকৃত আসামীদের মৎস্য খামারসহ বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় লোকজনদের সাথে কথা বলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস প্রদান করেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলসহ আশে পাশের এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। ভিকটিক মীম এর ডিএনএ পরীক্ষা ও সুচিকিৎসার জন্য মমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে মুক্তাগাছা থানায় ৯(১)/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন ধমন আইন ২০০০ (সংশোধিত- ২০২০) অপরাধের শিরোনাম- জোর পূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধ এর ধারা মতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং- ০১।
ইন্টারনেট সংযোগ, নেশা, জুয়া, বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ, আধিপত্য বিস্তার, রাজনৈতিক প্রভাবসহ সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে সারাদেশে শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।